বিজ্ঞানের উত্থানপর্ব

নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - পদার্থবিজ্ঞান - ভৌত রাশি এবং পরিমাপ (Physical Quantities and Their Measurements) | NCTB BOOK
708
Summary

ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে ইউরোপের রেঁনেসার যুগে পদার্থবিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটে। 1543 সালে কোপার্নিকাস সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের একটি তত্ত্ব প্রকাশ করেন, তবে তার কাজ গ্যালিলিওর মাধ্যমে প্রচারিত হয়। গ্যালিলিও আধুনিক বিজ্ঞানের জনক হিসেবে পরিচিত, তবে তার কাজের জন্য চার্চের কোপে পড়েন। 1687 সালে নিউটন বলবিদ্যা ও মহাকর্ষের সূত্র উপস্থাপন করেন এবং ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেন।

১৮শ শতাব্দীতে তাপকে শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা শুরু হয়। 1798 সালে কাউন্ট রামফোর্ড তাপের শক্তি সম্পর্কিত ধারণা দেন। 1850 সালে লর্ড কেলভিন তাপগতিবিদ্যার মূল সূত্র প্রতিষ্ঠা করেন।

বিদ্যুৎ ও চুম্বকের ওপরও গবেষণা বাড়ে। 1778 সালে কুলম্ব বৈদ্যুতিক চার্জের জন্য সূত্র প্রদান করেন, পরে ভোল্টা ব্যাটারি আবিষ্কার করেন। 1820 সালে অরস্টেড বিদ্যুতের মাধ্যমে চুম্বক তৈরি করেন এবং ফ্যারাডে ও হেনরি বিপরীত প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন।

১৮৬৪ সালে ম্যাক্সওয়েল তার সমীকরণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও চুম্বক ক্ষেত্রের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন, যা আলোর বৈশিষ্ট্যকে ব্যাখ্যা করে।

ষোড়শ এবং সপ্তদশ শতাব্দীতে ইউরোপে পদার্থবিজ্ঞানের জগতে একটি বিস্ময়কর বিপ্লবের শুরু হয়, সময়টা ছিল ইউরোপীয় রেঁনেসার যুগ। 1543 সালে কোপার্নিকাস তার একটি বইয়ে সূর্যকেন্দ্রিক একটি সৌরজগতের ব্যাখ্যা দেন (বইয়ের প্রকাশক ধর্মযাজকদের ভয়ে লিখেছিলেন যে এটি সত্যিকারের ব্যাখ্যা নয়, শুধু একটি গাণিতিক সমাধান মাত্রা)। কোপার্নিকাসের তত্ত্বটি দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে ছিল, গ্যালিলিও ( 1564-1642) সেটিকে সবার সামনে নিয়ে আসেন। তিনি গাণিতিক সূত্র দেওয়ার পর পরীক্ষা করে সেই সূত্রটি প্রমাণ করার বৈজ্ঞানিক ধারার সূচনা করেন। গ্যালিলিওকে অনেক সময় আধুনিক বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তবে সূর্যকেন্দ্রিক সৌরজগতের প্রবন্ধা হওয়ার কারণে তিনি চার্চের কোপানলে পড়েছিলেন এবং শেষ জীবনে তাঁকে গৃহবন্দী হয়ে কাটাতে হয়। 1687 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী নিউটন বলবিদ্যার তিনটি এবং মহাকর্ষ বলের সূত্র প্রকাশ করেন, যেটি বল এবং গতিবিদ্যার ভিত্তি তৈরি করে দেয়। আলোকবিজ্ঞান এবং অন্য আরো কাজের সাথে সাথে বিজ্ঞানী নিউটন লিবনিজের সাথে গণিতের নতুন একটি শাখা ক্যালকুলাস আবিষ্কার করেছিলেন। 

অষ্টাদশ শতাব্দীর আগে তাপকে ভরহীন এক ধরনের তরল হিসেবে বিবেচনা করা হতো। 1798 সালে কাউন্ট রামফোর্ড দেখান, তাপ এক ধরনের শক্তি এবং যান্ত্রিক শক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর করা যায়। আরও অনেক বিজ্ঞানীর গবেষণার ওপর ভিত্তি করে লর্ড কেলভিন 1850 সালে তাপ গতিবিজ্ঞানের (থার্মোডাইনামিক্সের) দুটি পুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিয়েছিলেন।বিদ্যুৎ ও চুম্বকের ওপরেও এই সময় ব্যাপক গবেষণা শুরু হয়। 1778 সালে কুলম্ব বৈদ্যুতিক চার্জের ভেতরকার বলের জন্য সূত্র আবিষ্কার করেন। 1800 সালে ভোল্টা বৈদ্যুতিক ব্যাটারি আবিষ্কার করার পর বিদ্যুৎ নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা শুরু হয়। 1820 সালে অরস্টেড দেখান বিদ্যুৎ প্রবাহ দিয়ে চুম্বক তৈরি করা যায়। 1831 সালে ফ্যারাডে এবং হেনরি ঠিক তার বিপরীত প্রক্রিয়াটি আবিষ্কার করেন।তারা দেখান চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়। 1864 সালে ম্যাক্সওয়েল তার বিখ্যাত ম্যাক্সওয়েল সমীকরণ দিয়ে পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রকে একই সূত্রের মাঝে নিয়ে এসে দেখান যে আলো আসলে একটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ। বিদ্যুৎ ও চুম্বক আলাদা কিছু নয়, আসলে এ দুটি একই শক্তির দুটি ভিন্ন রূপ। এটি সময়োপযোগী একটি আবিষ্কার ছিল, কারণ 1801 সালে ইয়ং পরীক্ষার মাধ্যমে আলোর তরঙ্গ ধর্মের প্রমাণ করে রেখেছিলেন। 

Content updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...